হৃদরোগকে নীরব ঘাতক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ত্রিশোর্ধ্ব সবাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমানো সম্ভব। পরিবারে কারো হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। হৃদরোগ প্রতিরোধে মানসিক চাপ কমানো এবং দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা জরুরি। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক, যা হজমের এনজাইমের কার্যকারিতায় বাধা সৃষ্টি করে। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা জগিং করার সময় দ্রুত ক্লান্তি এবং জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখা অপরিহার্য।
সুস্থ হার্টের জন্য করণীয়: নিয়মিত ব্যায়াম করুন, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানোর মতো ব্যায়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, ফল, সবজি, শস্য এবং মাছ বেশি করে খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড এবং অতিরিক্ত চিনি ও লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুমানো প্রয়োজন, প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি। ঘুমের অভাব শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন, ধূমপান ও মদ্যপান হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এগুলো সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
মানসিক চাপ কমান, মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই মানসিক চাপ কমাতে যোগ, ধ্যান বা পছন্দের কাজ করতে পারেন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান, বছরে একবার হৃদরোগের পরীক্ষা করানো উচিত। এতে রোগ শনাক্ত করা সহজ হয়।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন, প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা শরীরকে সতেজ রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয়:
রোগীকে প্রথমে শুইয়ে দিতে হবে। এরপর জিহ্বার নিচে একটি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট রাখতে হবে। যদি পাওয়া যায় তবে অ্যাসপিরিনের পাশাপাশি একটি সরবিট্রেট ট্যাবলেট রাখতে হবে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই হার্টের মাংসপেশির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়।
নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, হাঁটাহাঁটি এবং আখরোট খাওয়ার মাধ্যমে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। হৃদরোগের জন্য ভালো খাবার ফল ও সবজি। তৈলাক্ত খাবার হৃদরোগের জন্য বেশি ক্ষতিকর। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সুগার এবং কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। রক্তচাপ পরিমাপও জরুরি।