ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নারী ও শিশুসহ ১৫৩ বাংলাদেশিকে সিলেটের বিয়ানীবাজার ও মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পাঁচটি সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করেছে। রোববার (২৫ মে) ভোরে বিয়ানীবাজারের নয়াগ্রাম সীমান্ত ও বড়লেখার লাতু, পাল্লাথল ও নিউ পাল্লাথল সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৫২ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান। তিনি জানান, বিএসএফ নয়াগ্রামে ৩২ জন, লাতু সীমান্তে ৭৯ জন এবং পাল্লাথল ও নিউ পাল্লাথলে ৪২ জনকে পুশ ইন করে। বিজিবির আগাম প্রস্তুতির কারণে সীমান্ত পেরোনোর পরপরই তাদের আটক করা সম্ভব হয়।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সবাই বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। বিজিবি সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের শুরুতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালিয়ে এসব বাংলাদেশিকে আটক করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে তাদেরকে বাংলাদেশ সীমান্তে এনে পুশ ইন করা হয়।
সিলেট সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন হওয়া সুফিয়ান আলী নামের এক ব্যক্তি জানান, তাঁরা সবাই রাজস্থানের একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। প্রায় ১৫ বছর আগে তাঁরা ভারতে যান। ২ মে তাঁরা আটক হন এবং ৩ দিন আগে হেলিকপ্টারে করে গৌহাটি বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের সব অর্থ, মোবাইল ও কাপড়-চোপড় কেড়ে নেওয়া হয়। অনেককে খাবার পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিয়ানীবাজার থানায় ৩২ জন এবং বড়লেখা থানায় ১২১ জনকে হস্তান্তর করে বিজিবি।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি মো. আশরাফ উজ্জামান এবং বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার জানান, বিজিবির মাধ্যমে আটক ১৫৩ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাঁদের সেইফ কাস্টডিতে রাখার নির্দেশ দিতে পারেন। পরবর্তীতে অভিভাবকদের জিম্মায় তাদের হস্তান্তর করা হবে।
বিজিবি সূত্রে আরও জানা গেছে, পুশ ইন ঠেকাতে সীমান্তজুড়ে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।