২০১৩ সালের জাতীয়করণ ঘোষণার আওতায় বাদ পড়া প্রায় ৫ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
সোমবার (৩০ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষকরা।
সমিতির সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ খোকন জানান, ২০১৩ সালের ২৭ মে প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী ৩০ হাজার ৩৫২টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের কথা থাকলেও, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মাত্র ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। বাকি বিদ্যালয়গুলো উপজেলা ও জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সুপারিশে জাতীয়করণের উপযুক্ত বিবেচিত হলেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে টানা ১৮ দিনের আন্দোলনের সময় তৎকালীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন ও মহাপরিচালক মঞ্জুর কাদির দুই মাসের মধ্যে জাতীয়করণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকি ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। এরপরও দাবি পূরণ না হওয়ায় ২০১৯ সালে ৫৬ দিনের অনশন করেন শিক্ষকরা।
২০২৫ সালের শুরুতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনেই একাধিকবার আন্দোলন করা হয়। সর্বশেষ ৩ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনা দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে আশার কথা, ২৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের কনসালটেশন কমিটি অনধিক ৫ হাজার বিদ্যালয় জাতীয়করণের সুপারিশ পাঠিয়েছে।
দাবি জানিয়ে মামুনুর রশিদ খোকন বলেন, “আমাদের ন্যায্য দাবির বিষয়টি দীর্ঘদিন ঝুলে আছে। এখন প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া এর সমাধান সম্ভব নয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চলতে থাকবে।”
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী লিটনসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক।
পলিটিক্স/মি