বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছিল প্রবাসী ফুটবলারদের ট্রায়াল। গত ২৮-৩০ জুন অনুষ্ঠিত হওয়া এই ট্রায়ালে অনূর্ধ্ব-১৯ এবং ২৩—এই দুই পর্যায়ে অংশ নিয়েছিলেন মোট ৪৯ জন ফুটবলার। তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে ডাকা হতে পারে আসন্ন এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্টের প্রাথমিক ক্যাম্পে।
১ জুলাই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু জানিয়েছেন, অ-২৩ দলে প্রবাসী ফুটবলারদের আরেকবার পরখ করার সুযোগ থাকবে। আর গতকাল (১২ জুলাই) জাতীয় দল কমিটির সভা শেষে বাফুফের নির্বাহী সদস্য ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু জানান, “ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ৬-৭ জন প্রবাসী ফুটবলারকে ডাকা হতে পারে।”
যাদের পারফরম্যান্স বিশেষ নজর কাড়ে, তারা হলেন—বিশতোক চাকমা, জায়ান আহমেদ, ক্যাসপার হক, ইমান আলম, ইব্রাহিম নেওয়াজ, সামির আলম, তাসিন ইকবাল ও ইফাজ আহমেদ। ফলে কারা ডাক পাচ্ছেন, তা নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
তবে এখনো পর্যন্ত অ-২৩ দলের কোচ নির্ধারিত হয়নি। ফুটবল দলে খেলোয়াড় চূড়ান্ত করার দায়িত্ব মূলত কোচের। কোচ নিয়োগের পরই তিনি স্কোয়াড নির্বাচন করবেন। তাই প্রাথমিক দল ঘোষণার আগ পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কারা ডাক পাচ্ছেন।
সাধারণত, একটি জাতীয় দলের চূড়ান্ত স্কোয়াড হয় ২৩ জনের, আর প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকে ৩০-৩৫ জন। সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া এএফসি অ-২৩ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে ক্যাম্প শুরু হতে পারে জুলাইয়ের শেষ দিকে। তবে আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের মধ্যে ১২ আগস্ট এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই পুরোদমে অনুশীলন শুরু হবে।
প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া প্রবাসী ফুটবলাররা যদি আবার নিজেদের মেলে ধরতে পারেন, তবে ভিয়েতনাম সফরের দলে থাকতে পারেন তারাও।
গত বছরও অনূর্ধ্ব-১৭ দলে জায়গা পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আরহাম ইসলাম। তিনি নিজের খরচে এসে পারফর্ম করে জায়গা করে নেন মূল দলে। তবে টুর্নামেন্ট শেষে দেশে ফেরার টিকিট নিজেরই কাটতে হয়েছিল।
এবারের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ফুটবলাররাও নিজেদের এক দফা মেলে ধরেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, প্রাথমিক দলে ডাক পেলে তাদের আবারও নিজেদের খরচে আসতে হবে কি না—সেটা এখনো স্পষ্ট নয়।