ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামে রাজ্য পর্যায়ের ২৫ বছর বয়সী টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটেছে এ মর্মান্তিক ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রাধিকাকে গুলি করে হত্যা করেছেন তার নিজ বাবা। এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে মতবিরোধের জের ধরে রাধিকা যাদবের বাবা তাকে পরপর তিনটি গুলি করেন।
গুরুগ্রাম পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার প্রাথমিক অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টটি বাড়িতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রটি ছিল লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলবার এবং এটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গুলির পর স্বজনরা টেনিস খেলোয়াড়কে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নারী ডাবলস বিভাগে হরিয়ানার মধ্যে তিনি ৫ম স্থানে ছিলেন বলে জানা গেছে। রাধিকা যাদব তার সমবয়সীদের চেয়ে বেশি প্রতিভাবান ছিলেন। শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছিলেন তিনি।
যাদব সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল বানাতেন। দুর্ভাগ্যবশত এটিই বাবার সঙ্গে তার মতবিরোধ ঘটায়। শেষমেশ মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে। এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি রিল নিয়ে যাদব এবং তার বাবার মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে রাধিকা যাদবের বাবা নিজের লাইসেন্সধারী রিভলভার দিয়ে গুলি চালান। পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
রাধিকার প্রাক্তন কোচ মনোজ ভরদ্বাজ তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, রাধিকা ছিলেন অত্যন্ত মনোযোগী, শৃঙ্খলাপূর্ণ ও অসাধারণ প্রতিভাবান একজন খেলোয়াড়। এ মৃত্যু শুধু টেনিসের জন্য নয়, ভারতের জন্যও এক অপূরণীয় ক্ষতি।