টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে হারের পর নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হচ্ছে আজ (১০ জুলাই)। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে মাঠে নামবে দুই দল।
শেষ দুই ওয়ানডে ম্যাচে একাদশে না থাকা লিটন দাস এবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন টি-টোয়েন্টি দলকে। যদিও বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টির সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচেই হেরেছে। ২০২৩ সালের শেষদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও চলতি বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের কাছে হেরে বড় ধাক্কা খেয়েছে দলটি।
তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান সেই সিরিজগুলোতে খেলতে না পারলেও এবার লঙ্কানদের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির পেস ইউনিট নিয়ে মাঠে নামছে টাইগাররা। তাসকিনের নেতৃত্বে পেস আক্রমণ শানাচ্ছে বাংলাদেশ, তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতা এখন বড় চিন্তার কারণ।
দীর্ঘ ১৩ মাস পর জাতীয় দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এই অলরাউন্ডারকে কেন দলে নেয়া হলো, তা ব্যাখ্যা করেছেন অধিনায়ক লিটন দাস। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “অনেকদিন ধরে বাংলাদেশ একটা প্রকৃত অলরাউন্ডার মিস করছিল। সাকিব চেষ্টা করছে, ভালো খেলছেও, কিন্তু একজন বিশেষায়িত অলরাউন্ডারের ঘাটতি অনুভব হচ্ছিল।”
লিটন আরও বলেন, “টি-টোয়েন্টি আলাদা ফরম্যাট। সবাই জানি কীভাবে খেলতে হয়। আমরা আমাদের সেরাটা দিতে চাই। ছন্দে ফেরার চেষ্টা করব। তবে সহজ হবে না। শ্রীলঙ্কা হোম কন্ডিশনে শক্তিশালী দল।”
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা বলেন, সিরিজ সহজ হবে না। “বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল। তারা প্রতিভাবান, তরুণ দল। আমরাও তাই। আশা করি জমজমাট সিরিজ হবে।”
তিনি বলেন, “নিজেদের ফেভারিট ভাবি না। পিচ দেখে মনে হচ্ছে ১৮০-এর বেশি রান হবে। আমাদের পরিকল্পনা সেই অনুযায়ী।”
তবে শুরুতেই বড় ধাক্কা খেয়েছে শ্রীলঙ্কা। দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা চোটের কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারছেন না। তৃতীয় ওয়ানডেতে তিনি ইনজুরিতে পড়েন।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দুই দল এখন পর্যন্ত ১৭ বার মুখোমুখি হয়েছে। বাংলাদেশ জিতেছে ৬ বার, হেরেছে ১১ ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে মাত্র সাতবার ২০০-এর বেশি রান করেছে বাংলাদেশ, যার মধ্যে দুটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড:
লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাইম শেখ, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামিম পাটোয়ারী, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড:
চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল, কুশল পেরেরা, কামিন্দু মেন্ডিস, আভিষ্কা ফার্নান্দো, দাসুন শানাকা, দুনিথ ভেল্লালাগে, মাহিশ থিকশানা, জেফ্রি ভ্যান্ডারসে, চামিকা করুনারত্নে, মাথিশা পাথিরানা, নুয়ান তুষারা, বিনুরা ফার্নান্দো, ঈশান মালিঙ্গা।