নারী ফুটবলে নতুন ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার পথ অনেকটাই সহজ করে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচের নায়ক ছিলেন ঋতুপর্ণা—জোড়া গোলে তিনিই এনে দিয়েছেন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়।
রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় বিজয়ের উল্লাস। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ—সবাই যেন আনন্দে আত্মহারা। কারণ এই জয় মানে, ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য নারী এশিয়ান কাপের মূল মঞ্চে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলেছিল। কিন্তু নারী দল কখনোই এশিয়ার এই শীর্ষ আসরে পা রাখতে পারেনি। এবার সেই অপূর্ণতা পূরণের দ্বারপ্রান্তে মেয়েরা।
নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আটটি গ্রুপের আট চ্যাম্পিয়ন পাবে মূল পর্বের টিকিট। ‘সি’ গ্রুপে দুই ম্যাচ শেষে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। গ্রুপের শেষ ম্যাচ দুর্বল প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে জয় অনেকটাই অনুমেয় হলেও হারলেও বাংলাদেশের খুব একটা ক্ষতি হবে না।
কারণ, মিয়ানমার যদি বাহরাইনকে হারিয়েও দেয়, তাহলেও তাদের পয়েন্ট হবে বাংলাদেশের সমান—৬। তবে হেড টু হেড বিবেচনায় এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশই। আবার যদি আজ বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের ম্যাচ ড্র হয় কিংবা বাহরাইন জেতে, তাহলেও বাংলাদেশের জন্য আনন্দ সংবাদ। এমনকি আজই এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।
সব মিলিয়ে, ইতিহাসের সন্নিকটে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আর সেই ইতিহাস গড়ার মঞ্চে বড় অবদান রাখলেন ঋতুপর্ণা, তাঁর দুর্দান্ত জোড়া গোলেই এক পা পড়ে গেল এশিয়া কাপের মূল আসরে।